| |
               

মূল পাতা রাজনীতি জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রধান রক্ষাকবচ হলো নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন : চরমোনাই পীর


জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রধান রক্ষাকবচ হলো নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন : চরমোনাই পীর


রহমত নিউজ     13 July, 2025     01:23 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আমাদের অতীতের আত্মত্যাগ বিফলে গেছে ভুল নীতি এবং অসুস্থ রাজনীতির কারণে। জুলাই অভ্যুত্থানকেও আমরা অতীতের মতো ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা আমাদের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে। আহতরা এখনো ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা নিশ্চিত ও টেকসই করার একমাত্র রক্ষাকবচ হলো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। সংস্কারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পরবর্তী সরকারকে বাধ্য করার জন্য পিআর-ই একমাত্র উপায়। এর বাইরে নৈতিক বাধ্যবাধকতা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্যে পৌছানো যাচ্ছে না। আবার জুলাই সনদের আইনী মর্যাদা নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে। ফলে এখন চাঁপে পড়ে সংস্কারে রাজী হলেও পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার সংস্কার বহাল রাখবে কিনা সেই অনিশ্চয়তা এখনই দেখা দিয়েছে। 

ইসলামী আন্দোলনের আমীর পিআরকে নির্বাচনী কারচুপি রোধের উপায় হিসেবে উপস্থাপন করে বলেন,পিআর পদ্ধতিতে ভোটের অনুপাতের সামান্য পরিবর্তনে বড় কোন পরিবর্তন আসে না। বড় পরিবর্তন করতে বড় ধরণের কারচুপির প্রয়োজন হয়। ছোট কারচুপি যত সহজে করা যায় বড় কারচুপি তত সহজে করা যায় না বলে সামগ্রিক কারচুপির প্রবণতাই কমে যায়। আবার বিদ্যমান পদ্ধতিতে স্থানীয় ফলাফলের ওপরে এলাকার প্রার্থীর ভাগ্য নির্ভর করে। এমপি হওয়ার তাকিদে প্রার্থীরা ভোট ডাকতির চুড়ান্ত করে। কিন্তু পিআরে যেহেতু স্থানীয় রাজনীতিবিদদের প্রত্যক্ষ ভাগ্য জড়িত থাকে না তাই তারা বেশি ভোট পাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠে না। ফলে নির্বাচনে কারচুপির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।

তিনি বলেন, পিআরের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে, সংসদ জাতীয় ইস্যুতে বেশি মনোযোগী হবে,স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে এবং রাজনৈতিক জোট-সমঝোতা হবে আদর্শভিত্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ।

গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ডক্টর আহমাদ আব্দুল কাদের, ঢাবির প্রফেসর এ কে এম ইউসুফ, ড. মুহাম্মদ শহীদুল হক, ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গোলাম সারোয়ার মিলন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জনতা পার্টি বাংলাদেশ জাবেদ রাসিল, এনসিপি নেতা ড. ফয়জুল হক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. শেখ মুহাম্মাদ ইউসুফ, মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম অপু, হাবিবুর রহমান রিজু, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান,যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম,মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সেক্রেটারি জেনারেল কেএম বিল্লাল হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ  প্রমুখ।